গুগল সার্চ কনসোল ও অ্যানালিটিক্স
অনলাইন দুনিয়ায় ওয়েবসাইট বা ব্লগ চালাতে গেলে গুগল সার্চ কনসোল (GSC) এবং গুগল অ্যানালিটিক্স (GA) এর গুরুত্ব অনেক।
এই টুলগুলো সাইট পারফর্মেন্স বোঝা, ট্রাফিক বিশ্লেষণ এবং SEO উন্নত করার জন্য অপরিহার্য।
আরও পড়ুন ঃ বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম
📘 পোস্ট সূচিপত্র: গুগল সার্চ কনসোল ও অ্যানালিটিক্স
গুগল সার্চ কনসোল কি, এর কাজ কী?
গুগল সার্চ কনসোল হলো একটি ফ্রি টুল, যেটি গুগল ওয়েবমাস্টারদের জন্য তৈরি করেছে। এটি আপনার ওয়েবসাইটের সার্চ রেজাল্টে কেমন পারফর্ম করছে তা দেখায়।
মূল কাজগুলো:
- কোন পেজে কত ক্লিক হয়েছে
- কোন কিওয়ার্ডে র্যাংক করছে
- কোন পেজ ইনডেক্স হয়েছে এবং কোনটা হয়নি
- কোন এরর বা সমস্যা আছে কি না
ক্লিক, ইমপ্রেশন, CTR, এভারেজ পজিশন বিশ্লেষণ
ইমপ্রেশন মানে আপনার লিঙ্ক গুগলে কতবার দেখা গেছে।
ক্লিক মানে ইউজার লিঙ্কে ক্লিক করেছে কতবার।
CTR (Click Through Rate) = (ক্লিক / ইমপ্রেশন) × 100
এভারেজ পজিশন দেখায় গুগলে আপনার লিঙ্ক কোন পজিশনে আসে গড়ে।
যদি CTR কম হয়, তবে আপনার টাইটেল বা মেটা ডিসক্রিপশন আকর্ষণীয় নয় বুঝতে হবে।
robots.txt বিশ্লেষণ
robots.txt একটি টেক্সট ফাইল যা সার্চ ইঞ্জিন বটদের বলে দেয় কোন পেজ তারা ক্রল করতে পারবে, আর কোনটা নয়।
উদাহরণ:
User-agent: *
Disallow: /private/
এটা জানায় সব বটদের যেন “/private” ফোল্ডার না দেখে। ভুল robots.txt কনফিগারেশন SEO-তে বড় ক্ষতি করতে পারে।
আরও পড়ুন ঃ ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায়
সাইট ম্যাপ অ্যানালাইসিস ও সাবমিশন
সাইট ম্যাপ হচ্ছে XML ফরম্যাটে পুরো ওয়েবসাইটের একটি মানচিত্র।
GSC-তে সাইট ম্যাপ সাবমিট করলে গুগল দ্রুত পেজগুলো ইনডেক্স করতে পারে।
সাইটম্যাপ যদি ভুল হয়, তবে কিছু পেজ গুগলে দেখাবে না।
গুগল ম্যানুয়াল ইনডেক্স
যখন নতুন কোন পেজ তৈরি করেন, তখন GSC-তে গিয়ে “URL Inspection” অপশনে গিয়ে ম্যানুয়ালি ইনডেক্স রিকোয়েস্ট পাঠানো যায়। এটি নতুন কন্টেন্ট দ্রুত গুগলে যুক্ত করতে সাহায্য করে।
ইনডেক্সিং এবং নো-ইনডেক্সিং টেকনক
- Indexed Page: গুগল সার্চে দেখা যায়
- No-index: গুগলে দেখানো বন্ধ করা হয় (উদাহরণ: প্রাইভেট পেজ)
- <meta name="robots" content="noindex"> ট্যাগ ব্যবহার করে পেজ গুগল থেকে লুকানো যায়।
ম্যানুয়ালি ইনডেক্স রিমুভাল রিকুয়েস্ট টেকনিক
যদি কোন ভুল পেজ গুগলে ইনডেক্স হয়ে যায়, তাহলে GSC-তে গিয়ে Removals Tool ব্যবহার করে সেটি সরানো যায়।
এটি SEO এর জন্য খুবই দরকারি, যেন পুরনো বা ভুল ইনফো গুগলে না দেখায়।
গুগল অ্যানালিটিক্স
Google Analytics হচ্ছে একটি শক্তিশালী ওয়েব ট্রাফিক বিশ্লেষণ টুল।
এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারেন:
- প্রতিদিন কতজন ভিজিটর আসছে
- কোন দেশের মানুষ বেশি আসছে
- তারা কোন পেজে কত সময় কাটায়
- তারা মোবাইল নাকি ডেস্কটপ ব্যবহার করছে
এটি ব্যবহার করে আপনি ইউজার বিহেভিয়ার ভালোভাবে বুঝতে পারেন এবং কন্টেন্ট অপ্টিমাইজ করতে পারেন।
অ্যানালিটিক্স ডেটা ট্র্যাকিং ও বিশ্লেষণ
আপনি চাইলে বিভিন্ন ইভেন্ট (যেমন: বাটন ক্লিক, ভিডিও প্লে, ফর্ম সাবমিট) ট্র্যাক করতে পারেন।
Google Tag Manager ব্যবহার করে সহজেই কাস্টম ট্র্যাকিং সেট করা যায়।
এই তথ্য বিশ্লেষণ করে বুঝা যায় কোন কন্টেন্ট ইউজারদের জন্য উপযোগী, আর কোনটা নয়।
আরও পড়ুন ঃ AI আমাদের জীবনে কোন কাজে আসবে
উপসংহার
ওয়েবসাইট চালানো মানে শুধু কন্টেন্ট লিখে ছেড়ে দেওয়া না, বরং সেটির পারফর্মেন্স প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করাও জরুরি।
গুগল সার্চ কনসোল ও অ্যানালিটিক্স সঠিকভাবে ব্যবহার করলে আপনি সহজেই জানতে পারবেন কোন জায়গায় উন্নতি দরকার এবং কীভাবে ভিজিটর বাড়ানো যায়।
এগুলো শেখা ও প্র্যাকটিস করা মানেই আপনার সাইটের SEO ও ইউজার এক্সপেরিয়েন্স আরও শক্তিশালী করা।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url